বাংলাদেশের অন্যতম সুপ্রাচীন ঐতিহ্য মণ্ডিত একটি শহর রাজশাহী। অনেক আগে থেকেই রাজশাহী শহরটি প্রাচীন বাংলায় পরিচিত ছিল। এই রাজশাহী শহরেই রয়েছে বিভিন্ন প্রত্ন নিদর্শন।
রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেই সেন বংশের রাজা বিজয় সেনের সময়ের ইতিহাস আজ সমৃদ্ধ হয়ে আছে। এই ইতিহাসের পাশাপাশি রাজশাহীর রয়েছে আরও অনেক ইতিহাস , যা অনেকেরই অজানা।
তেমনি এক সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষী রাজশাহীর ঘোড়ামারা পোস্ট অফিসের সন্নিকটে শ্রী শ্রী পাচু মন্ডল আখড়া মন্দির।
 |
শ্রী শ্রী পাচু মন্ডল আখড়া মন্দির |
এই মন্দিরের ইতিহাস তেমন কোথাও খুঁজে পাওয়া না গেলেও স্থানীয়দের থাকে জানা যাই, শ্রীমতি বসন্ত কুমারী চৌধুরানীর বংশধর, শ্রী পাঁচু মন্ডল রাজশাহীর ঘোড়ামারা এলাকায় তার ভক্তদের জন্য আনুমানিক ১৭০০ সালের দিকে এই আখড়া গড়ে তোলেন এবং তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে ১৯১০ সালে শ্রী পাঁচু মন্ডলের বংশধর সেখানেই এই শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দিরটি স্থাপনা করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায় এই মন্দিরটির কার্যক্রম এবং দীর্ঘ ৪৪ বছর পর ২০১৫ সাল থেকে এই মন্দিরটির কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।
রাজশাহীর ঘোড়ামারা বোয়ালিয়া থানা সংলগ্ন একটি জনপ্রিয় পুরানো এবং বিখ্যাত মন্দির নারায়ণ মন্দির বা শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দির। মন্দিরটি একটি অনন্য স্থাপত্য নকশা দিয়ে নির্মিত। মন্দিরের এলাকাটি এবং আয়তন অতটা বড় নয়, তবে যথেষ্ট, মন্দিরের এলাকাটি খুব পরিষ্কার পরিছন্ন।
শ্রী শ্রী নারায়ণ মন্দিরটি 'নারায়ণ মন্দির' নামেও পরিচিত। যদিও জায়গাটি পুরানো এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও একটি মুসলিম পরিবার সেখানে বহু বছর ধরে বসবাস করে। দুর্গাপূজা ছাড়াও এখানে প্রতি বছর বিভিন্ন পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই মন্দিরের পাশেই আছে একটি কালি মন্দির। দুর্গাপূজার সময় জমকালো উৎসব হয় এবং চারপাশ আলোয় ঝলমল করে ।
শ্রী শ্রী পাচু মন্ডল আখড়া মন্দিরে কিভাবে যাবেন ?
রাজশাহীর আলুপট্টির মোড় থেকে বোয়ালিয়া থানার এবং রথ বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা গিয়ে হাতের বাম পাশেই দেখা মিলবে শ্রী শ্রী পাঁচু মন্ডল আখড়া মন্দিরের।
মন্দিরের লোকেশন: ঘোড়ামারা পোস্ট অফিসের সন্নিকটে , রাজশাহী